প্রেম ভালোবাসার কবিতা ও এসএমএস Bangla Valobashar Kobita
ভালবাসায় নেই কো ভুল
খুলে দিয়ে মনের দখিণা দ্বার
শুল্কসন্ধ্যা চৈত্রমাসে,
মধুমাসের মধু মিলনে বাসন্তীরং এ
কবির মনে প্রেম আসে।
একলা দাঁড়ায়ে বকুল তলায়
বাতাসে উড়িয়ে লাল শাড়ি,
প্রভাতী মেঘে ফের বায়না ধরে
মেয়ে তোমার কোথায় বাড়ি।
জানতে চাইলে সবুজ বন
বলবে তখন কবির মন
ভালবাসি রাশি রাশি
মেয়ের রেশম কালো চুল,
তখন সবুজের বন দিবে উপমা
ভালবাসায় নেই কো ভুল।
সোনায় সোহাগা মেয়ের রূপ
কাজল বরণ আঁখি,
সুরের দানে মান অভিমানে
তুমি যে আমার পাখি।
হাজার বছরের স্বর্ণালী প্রেম
কাচের চুড়ি যেচে,
প্রেমিক পুরুষ তা আনিতো কিনে
প্রেমিকা নিতো নেচে।
তেমনি হওয়া চাই মেয়ের প্রেম
জড়িয়ে কবির কোল,
তখন আহ্লাদে প্রাণ ধরিবে যে গান
ভালবাসার নেই কো ভুল।
ভালোবাসার রং
ভালোবাসা-
গায় সাম্যের গান
সুর মাধুর্য ভাঙে শৃঙ্খল।
ভালোবাসা-
ভাসে মুক্ত ভেলায়
পালতোলা নাওয়ে উজান বেলায়।
ভালোবাসার-
নাই কূল প্রান্তর-
নাই তল, নাই সমতল।
ভালোবাসা-
তো জীবন্ত সজীব
ভয় বাঁধা জ্বলন্ত প্রদীপ।
ভালোবাসা-
বলে হতে আমর
বিলিয়ে দিতে যা সুন্দর।
ভালোবাসা-
এক অম্লান আশা
অনন্ত অক্ষর যার ভাষা।
ভালোবাসা-
নয় পাবার আশা
যা সুন্দর অন্তরে মাখা।
ভালোবাসা-
মানে অকৃত্রিম শ্রদ্ধা
মনের মধ্যে স্পষ্ট ব্যক্ত।
ভালোবাসা-
মানে পবিত্র আত্মা
অসীমের মাঝে শৃঙ্খল সত্তা।
ভালোবাসা-
হয় তরল পাতলা
প্রয়োজনে সে কঠিন অখণ্ড।
ভালোবাসা-
হয় শান্ত প্রকৃতিৱচারি ধার উজ্জ্বল অতি।
ভালোবাসা-
হয় স্বার্থ ত্যাগী
অন্যের মঙ্গল প্রথম দাবি।
ভালোবাসা
মানুষের অন্তরে ধ্বনি
যার ব্যাপ্তি অনন্ত কাহিনী।
ভালোবাসা-
তো উন্নত অতি-
কঠোর মানে মোমের বাতি।
ভালোবাসা-
তো অনন্য উপলব্ধি
অসীম জ্ঞানের সূক্ষ্ম উক্তি।
ভালোবাসা-
জানে জীবনের মানে
আনন্দ দুঃখের ক্ষণে-ক্ষণে
ভালোবাসা-
জানে মুক্ত হতে ভালোবেসে ধরণী ভরিয়ে দিতে।
ভালোবাসা-
বলে মরু প্রান্তরে
তপ্ত রোদে দৃপ্ত পদে।
ভালোবাসা
উড়ে মুক্ত মনে
দ্বিধাহীন কোন অন্ত প্রাণে।
ভালোবাসা-
আসে স্বর্গ হতে
মহৎ সে জানান দিতে
Bangla valobashar kobita
ভালবাসার ছন্দ – মেঘ দূত
বলতে পারো?
কোন মেঘেতে ‘বৃষ্টি’ হাসে
কোন মেঘেতে সূর্য,
কোন মেঘেতে ‘ঝিরি হাওয়া’
কোন মেঘেতে বজ্র।
কোন গগনে তারার মেলা
‘শুকতারা’ ‘অরূন্ধতী’,
কোন্ আকাশে ‘পূর্ণিমা’ চাঁদ
নিশীথ প্রদীপ বাতি।
কোন হাওয়াতে ভেসে বেড়ায়
মিষ্টি-মধুর শব্দ,
কোন দিঘীটার শীতল জলে
ফোটে আমার ‘পদ্ম’।
কোন বাগিচায় নীল ভোমরা
গুন গুন গান গায়,
কোন বাতাসে জংলী ফুলের
সুবাস পাওয়া যায়।
কোন্ সুর’টি মন ছুঁয়ে যায়
নিত্য আমার সাথী,
কোন শাখাতে দোল খেয়ে যায়
হলদে ‘সোনাপাখী’।
কোন বনে’তে পেখম মেলে
নাচে ‘ময়ূরী’,
কোন মনে’রি ‘কৃষ্ণ – রাধা’ য়
হয়না ছাড়াছাড়ি।
পারলে না ভাই পারলেনা তো
এমন সহজ ধাঁধাঁ,
আজ তাহলে বলবো না আর
থাক সে বুকেই বাঁধা।
প্রিয়তমা
আমি আছি ততোদিন
তুমি রবে যতদিন
স্বপ্ন যাবে তত দূর
তুমি নিবে যতদূর।
প্রিয়তমা ও প্রিয়তমা
আমায় ছেড়ে যেও না
বৃথা কষ্ট দিও না
স্বপ্নটা ভাঙিও না।
আমি যখন ঘুমিয়ে থাকি
স্বপ্নে শুধু তোমায় দেখি
আমি যখন জেগে থাকি
কল্পনাতে তোমায় খুজি।
দূরে তাই যেও না
দূরত্ব বাড়িয়ে
আমাকে ছাড়িয়ে
আমারই জীবন থেকে
স্বপ্নগুলো রেখে।
স্বপ্নগুলো স্বপ্নই রবে নাকি আমার জীবনে
তা সত্যি হবে
ভালোবাসার কবিতা
ভালবাসি
তোমায় নিয়ে জল্পনা কল্পনা
ভালবাসি তোমায় অল্পনা (কম নয়)
করকি আমার সাথে ছলনা
হে ললনা বলনা
তোমায় কি ভালবাসবো না?
ধোঁকা দিবে কিনা জানিনা ।
ভালবাসার দিও প্রতিদান
করনা কখনো অভিমান,
ভালবাসা নয় কোন খেলা
করবে যে তুমি হেলা
ভালবাসি তোমায় দিয়ে মন
রেখ প্রিয়া ভালবাসার মান।।
প্রতীক্ষা
একদিন শান্ত সকালে
স্কুলের কোলাহলে
নিতান্তই খেলাচ্ছলে
দিয়েছিলো সে প্রস্তাব
অবাক নয়নে চেয়ে থাকলাম
ক্রোধে ফেটে পড়লাম
নিজেকে বললাম
আমি কি প্রেমে পড়লাম
অবশেষে বুঝলাম
মনে মনে হাসলাম
নিজেকে বোঝালাম
তারই মাঝে হারালাম
আজ আমি চেয়ে থাকি
মনে মনে শুধু ভাবি
সে আবার আসবে নাকি
বলতে আমায় ভালোবাসি ।
প্রেম – মলয় অধিকারী
যেদিন তুমি ধরেছিলে হাত, কেঁদেছিলে কোন সুখে
চোখের ভাষায় বুঝিয়েছিলে সব, এসেছিলো যা মুখে-
গভীর সুখে রেখেছিলে মাথা আমার ব্যথার বুকে
ভেবেছিনু হায়, এই বুঝি প্রেম, মরিব দুজন ধুকে।
কোথাকার নদী কোথায় মিশেছে, সাগরে মুক্তি তার
তব মুখখানি না দেখিলে মোর হইতো হ্রদয় ভার-
সেই চিঠি পেয়ে ছুটে আসিতে আমার বক্ষ দ্বার
ভেবেছিনু হায়, এই বুঝি প্রেম, কাঙালের কারবার।
চোখ ভাসায়ে কাঁদিতে তুমি, যত দুঃখে আমার
তোমারে হাসায়ে ধরেছি যে সুখ, হয়েছে কবে কার-
হারাতে চেয়েছি যে ওপারের দেশে, পৃথিবী যে কোন ছার
ভেবেছিনু হায়, এই বুঝি প্রেম; সাধ জাগে মরিবার।
হেটেছি কত দুরের পথ দুজনে ধরিয়া হাত
চোখের পরে চোখ রেখে যে, কেটেছে কতনা রাত-
ভেবেছি এভাবে যাক যুগ যুগ, এভাবে আসুক নিপাত
ভেবেছিনু হায়, এই বুঝি প্রেম; সুখেরই ঝঞ্ঝাপাত।
সব নদী হায় বয়ে বয়ে যায়,তবু কভু হয় ক্ষয়
তেমনি করিয়া ছাড়িয়া গিয়েছো, শুন্য করে হ্রদয়-
দু’হাত শুধু শুন্যে তুলেছি আনবো তোমারে ফিরায়
ভেবেছিনু হায়, এই বুঝি প্রেম; হ্রদয়ের দুঃসময়।
আমারে লুকায়ে যাবে কতদুর, দেখা যে হবে আবার
আমি যে কোথাও আবার হারাবো চোখে চোখ রেখে তোমার-
আসিতেছি আমি তোমার কাছে, খুলে রাখো তব দ্বার
বুঝেছিযে হায় এরে কয় প্রেম, ‘আশা, পুনঃমিলিবার’।
ভালোবাসো
আমি জানি,
তুমি ভালোবাসো তেমন করে
মরুর বুকে যে তৃষ্ণার্ত খুঁজে পায় কাঙ্ক্ষিত পানির দেখা
আমি জানি, আমি জানি তুমি ভালোবাসো।
কিন্তু আবার ভাবি,
যদি সবগুলো তারা খসে পড়ে,
কিংবা মনে কর সব শুকিয়ে গেল,
পথিক হারাল না তার পথ।
তারপর…???
তারপরও আমি জানি,
আমি জানি তুমি ভালোবাসো
তেমন করে,
আমি ভালবাসি তোমায় যেমন করে।
ব্যস এইটুকু
ভালোবাসবো বলেই বেসেছি..
কোনোকিছু না ভেবেই বেসেছি..
কিছু চাই না..
তুমি যেমন আছ সেইরকম-ই থেকো..
ব্যস এইটুকু..
রোজ সকালে ঘুম ভাঙানোর এস.এম.এস..
কলেজ ক্যাম্পাসের খুনসুটি..
আর সেই রাগ দেখানো তুমি..
ব্যস এইটুকু..
সত্যি বলছি আর কিছু চাই না..
অতীতের কালো মুছে আলোকিত করেছ আমার জীবন…
সর্বত্র তোমার আলোয় দৃশ্যমান হচ্ছে কিছু মুহূর্ত..
ওই মুহূ্র্ত গুলো একটু একটু করে উপভোগ করছি..
শেষ হতে দিতে চাই না..
কোনো আবদার, কোনো commitment, কোনো কিছুই তুমি চাওনি..
শুধু চেয়েছিলে আমায়…
ব্যস এইটুকু..
বিকেলে রাস্তায় তোমার সাথে কাটানো সময়..
তখনো তুমি কিছু চাওনি..
শুধুই হেসেছিলে…
আর চেয়েছিলে আমায়, তোমার পাশে..
ব্যস এইটুকু…
একান্ত ব্যক্তিগত
তখন নীল ধ্রুবতারা জাগেনি
ঘুমন্ত ঘড়ির পানে চেয়ে বসে
অন্ধকারের প্রতীক্ষায়
দিন পেরোনোর অগোছালোতা
সন্ধ্যার স্তব্ধতাটাকে গ্রাস করছে |
একে একে সবাই চলে গেছে-
ঘুম ভাঙানো সাইরেন,
নীল পাড়ের শাড়ির তুমি |
এই সময়টা আমার
একান্ত ব্যক্তিগত..
তুমি মুখ বাড়িও না প্লিজ..
ভয় লাগে |
এখানে আসা তোমার বারণ ||
Post a Comment